কাঁদলেন শেখ হাসিনা ! স্তব্ধ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
https://www.facebook.com/mahmudurrahman.joglu/videos/416091972232002/
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সবাই যখন আনন্দে উদ্বেলিত তখন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শুরুতে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পুরো উদ্যান। বক্তব্যের প্রথম ২০ মিনিটের সিংহভাগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজের অতীত ইতিহাসের কথা বলেন শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রী যখন পঁচাত্তর ও তার পরবর্তী সময়ের কথা বলছিলেন, তখন তার গলা বারবার কাঁপছিল, স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এমন চিত্রই দেখা গেছে শনিবার (২১) গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, বাংলার মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, বাসস্থান পায়, শিক্ষা পায়, উন্নত জীবন পায় সেটাই আমার স্বপ্ন। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ্য। আজকে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৩ বছর তিনি সংগ্রাম করেছেন বাংলার মানুষের জন্য। স্কুল জীবন থেকেই তিনি সংগ্রাম শুরু করেন। নিজের জীবন তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষকে বঞ্চনার হাত থেকে মুক্ত করার জন্য।’
দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে যখন পঁচাত্তরের সেই কালোরাতের কথা উল্লেখ করেন তখনই গলা ভারী ওঠে শেখ হাসিনার।
কাঁপা গলায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে গড়ে তুলছিলেন, তখন বাংলার মানুষের জীবনে নেমে এলো অমানিশার অন্ধকার পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট, জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। সেদিন আমাদের পরিবারের যারা ধানমন্ডির ওই বাড়িতে ছিল তাদের কেউ বেঁচে থাকতে পারেনি।’
প্রধানমন্ত্রী যখন ৭৫ পরবর্তী দিনগুলোর কথা বর্ণনা করছিলেন তখনও তাঁর গলা কাঁপছিল। ভারতে আশ্রয় নেয়া থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী যখন দেশে না ফিরতে পারার আক্ষেপের কথা বলছিলেন তখন পুরো উদ্যান জুড়েই ছিল স্তব্ধতা, নীরবতা। এই নীরবতা বজায় ছিল প্রায় ২০ মিনিট। এরপর প্রধানমন্ত্রী যখন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন, তখন নেতাকর্মীরা কিছুটা স্বাভাবিক হন। প্রধানমন্ত্রী যখন সরকারের সফলতার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তখন নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তার কথায় সমর্থন দিচ্ছিলেন।
গণসংবর্ধনায় অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমদু এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। সংবর্ধনা মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
প্রসঙ্গত, প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন, অস্ট্রেলিয়ায় ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং ভারতের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি লাভসহ নানা অর্জনের জন্য সরকারপ্রধানকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
courtesy: mahmudur rahman jaglu
https://www.facebook.com/mahmudurrahman.joglu/videos/416091972232002/
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সবাই যখন আনন্দে উদ্বেলিত তখন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শুরুতে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পুরো উদ্যান। বক্তব্যের প্রথম ২০ মিনিটের সিংহভাগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নিজের অতীত ইতিহাসের কথা বলেন শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রী যখন পঁচাত্তর ও তার পরবর্তী সময়ের কথা বলছিলেন, তখন তার গলা বারবার কাঁপছিল, স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এমন চিত্রই দেখা গেছে শনিবার (২১) গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, বাংলার মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, বাসস্থান পায়, শিক্ষা পায়, উন্নত জীবন পায় সেটাই আমার স্বপ্ন। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ্য। আজকে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২৩ বছর তিনি সংগ্রাম করেছেন বাংলার মানুষের জন্য। স্কুল জীবন থেকেই তিনি সংগ্রাম শুরু করেন। নিজের জীবন তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষকে বঞ্চনার হাত থেকে মুক্ত করার জন্য।’
দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে যখন পঁচাত্তরের সেই কালোরাতের কথা উল্লেখ করেন তখনই গলা ভারী ওঠে শেখ হাসিনার।
কাঁপা গলায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে গড়ে তুলছিলেন, তখন বাংলার মানুষের জীবনে নেমে এলো অমানিশার অন্ধকার পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট, জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। সেদিন আমাদের পরিবারের যারা ধানমন্ডির ওই বাড়িতে ছিল তাদের কেউ বেঁচে থাকতে পারেনি।’
প্রধানমন্ত্রী যখন ৭৫ পরবর্তী দিনগুলোর কথা বর্ণনা করছিলেন তখনও তাঁর গলা কাঁপছিল। ভারতে আশ্রয় নেয়া থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী যখন দেশে না ফিরতে পারার আক্ষেপের কথা বলছিলেন তখন পুরো উদ্যান জুড়েই ছিল স্তব্ধতা, নীরবতা। এই নীরবতা বজায় ছিল প্রায় ২০ মিনিট। এরপর প্রধানমন্ত্রী যখন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন, তখন নেতাকর্মীরা কিছুটা স্বাভাবিক হন। প্রধানমন্ত্রী যখন সরকারের সফলতার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তখন নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তার কথায় সমর্থন দিচ্ছিলেন।
গণসংবর্ধনায় অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমদু এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। সংবর্ধনা মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
প্রসঙ্গত, প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন, অস্ট্রেলিয়ায় ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং ভারতের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি লাভসহ নানা অর্জনের জন্য সরকারপ্রধানকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
courtesy: mahmudur rahman jaglu
No comments:
Post a Comment